মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদান ইরানে ১৪ শতকের প্রাচীন এয়ার কুলার ব্যবস্থা

 বিজ্ঞানে মুসলিমদের অবদান

মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদান সারা বিশ্বে এক সময় সবার উপরে ছিল তাদের তৈরী বিভিন্ন স্থাপত্য এখনও আশ্চর্যনক স্থাপত্যের অন্যতম। ঠিক এমন এক স্থাপত্য ছিল আজ থেকে প্রায় ৫০০-৬০০ বছর পুর্বে ইরানে ১৪ শতকের প্রাচীন এয়ার কুলার!  

প্রায় সাড়ে ছ’শো বছর আগের মুসলিম আর্কিটেকচারের অভিনব কায়দায় নির্মিত কিছু ব্যতিক্রমী নির্মাণশৈলী আজও অক্ষত দেখা যায় ইরানের ইয়াজদ প্রদেশে। ইয়াজদ ছিল সে সময়কার ইরানের রাজধানী। স্থানটির তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রিতে ওঠানামা করত।


চিমনির মতো দেখতে এই টাওয়ারগুলো পদার্থবিজ্ঞানের প্লবতা ধর্ম ব্যবহার করে ঘরকে ঠাণ্ডা রাখত। অভিজাত বসত বাড়ি, ধর্মীয় উপাসনালয় এবং কিছু তথ্যমতে মৃতদেহ সংরক্ষণ কক্ষের উপরে এ ধরণের টাওয়ার দেখা যেত সে সময়। এই টাওয়ারগুলোকে বলা হয় উইন্ডক্র্যাচার। সেই অগ্নিদগ্ধ গরমের মধ্যে মাথার উপরে একটা উইন্ডক্র্যাচার যেন ছিল এক টুকড়ো আভিজাত্যের নির্দেশক।

 

অন্যদিকে, ১৪ শতকে ইরানের বেশিরভাগ বাসিন্দা ছিলেন জরথ্রুস্ট ধর্মের। তারা মূলত ছিলেন অগ্নিপূজারী। তাই মৃতদেহকে আগুন দ্বারা পোড়াতে না পারায়, এই কাঠফাটা গরমের মধ্যে দীর্ঘ সময় মৃতদেহকে একটা হিমশীতল ঘরে রেখে দেওয়ার চল ছিল। আর সে ঘর প্রাকৃতিকভাবে হিমশীতল রাখত এই উইন্ডক্র্যাচার।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪