কিভাবে সম্পুর্ন নির্ভুল ভাবে ডিজিটাল বাংলা ও ইংরেজি জন্ম সনদ এর অনলাইন কপি পাওয়া যায়?

  

আজ আমি তিনটি বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে আলোচনা করব?



প্রথমঃ কিভাবে সম্পুর্ন নির্ভুল ভাবে ডিজিটাল বাংলা ও ইংরেজি জন্ম সনদ এর অনলাইন কপি পাওয়া যায়?


দ্বিতীয়তঃ আপনি যদি বিবাহিত হন তাহলে আপনার স্ত্রীর ডিজিটাল বাংলা ও ইংরেজি জন্ম সনদ এর অনলাইন কপি কোথায় এবং কিভাবে পাবেন?


তৃতীয়তঃ  আপনার যদি কোন সন্তান থাকে তাহলে তার ডিজিটাল বাংলা ও ইংরেজি জন্ম সনদ এর অনলাইন কপি সম্পুর্ন নির্ভুল ভাবে কোথায় থেকে করলে ভাল হবে তার বিস্তারিত আলোচনা করব?


সর্ব প্রথম আলোচনা করি কোথায় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সনদ অনলাইনে  ডিজিটাল করা যায় ? 


যারা গ্রাম অঞ্চলে বসবাস করেন তারা নিজ এলাকার ইউনিয়ন পরিষদে, এবং যারা শহরে বসবাস করেন তারা ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর কার্যালয় অথবা সিটি কর্পোরেশন এ যোগাযোগ করবেন। এবং যারা পৌর এলাকায় বসবাস করেন তারা পৌরসভায় যোগাযোগ করবেন?
এবং যারা বিদেশে থাকেন তার নিজ নিজ দুতাবাসে যোগাযোগ করে জন্ম নিবন্ধন সনদ ডিজিটাল করতে পারেন?

*জন্ম নিবন্ধন সনদ ডিজিটাল করতে কি কি কাগজের প্রয়োজন হবে?


জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত যে কোন কাজের জন্য ̈স্থায়ী ঠিকানার প্রমাণক হিসাবে ব্যক্তির নিজের বা পিতা বা মাতা বা পিতামহ বা পিতামহীর দ্বারা স্বনামে স্থায়ী ঠিকানা হিসাবে ঘোষিত আবাসস্থলের বিপরীতে হালনাগাদ কর পরিশোধের প্রমাণপত্র থাকিতে হবে।
আর আপনার জন্ম নিবন্ধন টি ডিজিটাল করতে যে জিনিসটি সবার আগে লাগবে সেটি হলো আপনার পুরাতন হাতে লেখা বা আংশিক ডিজিটাল করা কপি ।
যদি না থাকে তাহলে আপনার পিতা/ মাতা ভাই/বোন অথবা আপনার পরিবারের যে কারও বড় মানুষের জন্ম সনদ নিয়ে আপনার লোকাল এলাকার জন্ম নিবন্ধন রেজিস্টার কার্যালয়ে যোগাযোগ করবেন।
 যদি খুজে না পাওয়া যায় তাহলে আপনার জাতীয়/পরিচয় পত্র/এস.এস.সি/ পি.এস.সি/জে.এস.সি বা সমমানের সার্টিফিকেট/ইপিআই কার্ড দিয়ে নতুন করে তথ্য এন্ট্রির আবেদন করতে পারবেন।
আর যদি এগুলোও না থাকে তাহলে আপনার বয়স প্রমানের জন্য ডেন্টাল ক্লিনিক/সরকারি/ বেসরকারি/ হাসপাতাল হতে এমবিবিএস ডাক্তার এর কাছ থেকে একটি প্রত্যয়ন নিয়ে নতুন করে আবেদন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে অনলাইন হতে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা-২০১৮ পড়লে আরও বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন।

এগুলো ছাড়া আরও কিকি কাগজ লাগে?

 
*আপনার জন্ম তারিখ যদি ০১-০১-২০০১ এর পরে হয় তাহলে আগে আপনার পিতা এবং মাতার জন্ম সনদ ডিজিটাল করে আপনার টা ডিজিটাল করতে হবে।
* যদি আপনার পিতা মাতা মারা যায় তাহলে তাদের মৃত্যুর সার্টিফিকেট দিয়ে এবং আপনার যে কোন বোর্ড সার্টিফিকেট অথবা জাতীয় পরিচয় পত্র/ পাসপোর্ট দিয়ে আপনার টা ডিজিটাল করতে পারবেন?
*আর আপনার জন্ম তারিখ যদি ০১-০১-২০০১ এর পুর্বে হয় তাহলে আপনি আপনার পিতা/মাতার জন্ম সনদ ডিজিটাল না করেই শুধুমাত্র আপনার টা করতে পারবেন!
*এক্ষেত্রে যে কোন শিক্ষা বোর্ড হতে পি.এস.সি /জে.এস.সি / এস.এস.সি/ সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত ফটোকপি অথবা মুল কপি প্রর্দশন করে  এবং জাতীয় পরিচয় পত্র/ পাসপোর্ট/পিতা/মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র/ অথবা পিতা/মাতার জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে  জন্ম সনদের জন্য অনলাইন কপির জন্য আবেদন করতে পারেন।

এবার ২য় বিষয় নিয়ে আলোচনা করি?


আপনি যদি বিবাহিত হন তাহলে আপনার স্ত্রীর ডিজিটাল বাংলা ও ইংরেজি জন্ম সনদ এর অনলাইন কপি কোথায় এবং কিভাবে পাবেন?


কআপনার স্ত্রীর যদি পুরাতন হাতে লেখা জন্ম সনদ থাকে তাহলে দেখতে হবে সেই জন্ম সনদ টি কোথায় থেকে প্রথমে তৈরী করা সেটা কি আপনার ইউনিয়ন পরিষদে করা না আপনার শশুর বাড়ীর এলাকা হতে করা।
*    যদি আপনার এলাকায় করা হয় তাহলে পুর্বে আপনার জন্ম সনদ ডিজিটাল করার যে প্রক্রিয়া গুলো আলোচনা করেছি সেই ভাবে আপনার সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রীর টাও করে নিতে পারবেন।
*    আর যাদি আপনার স্ত্রীর জন্ম সনদ আপনার শশুর বাড়ীর এলাকায় হয়ে থাকে তাহলে সেটা ঐ এলাকায় গিয়ে স্থানীয় নিবন্ধন কার্যালয়ে গিয়ে ডিজিটাল করতে হবে এইটা আপনার এলাকায় হবেনা।
*  আর যদি না থাকে তাহলে কি করবেন? জন্ম ও মৃত্যু নবিন্ধন আইন ২০০৪ অনুযায়ী জন্ম নবিন্ধন সকলরে জন্য ব্যধ্যতামূলক (ধারা ৫(১), ৬ক এবং ৮(১))

*    যদওি ২০০৪ সালে এই আইন পাশ হয় কন্তি বাস্তবায়ন হতে ২০০৬ সাল র্পযন্ত লগেে যায় যার কারনে আপনি যদি ২০০৬ সালরে র্পুবে ববিাহ করে থাকনে তাহলে আপনার এলাকায় আপনার স্ত্রীর জন্ম নবিন্ধন থাকার সম্ভাবনা বশেী। আর যদি ২০০৭ এর পরে ববিাহ করনে তাহলে আপনার স্ত্রীর জন্ম নবিন্ধন আপনার শশুর বাড়ীতে থাকার সম্ভাবনা বশেী। এক্ষত্রেে আপনাকে দুই যায়গায় খোজ করা লাগতে পারে


তৃতীয়তঃ  আপনার যদি কোন সন্তান থাকে তাহলে তার ডিজিটাল বাংলা ও ইংরেজি জন্ম সনদ এর অনলাইন কপি সম্পুর্ন নির্ভুল ভাবে কিভাবে করা যায় তার বিস্তারিত আলোচনা করব?


প্রতমতঃ আপনার সন্তানের জন্ম সনদ কোথায় করবেন?
আপনি যদি চাকুরী করার কারনে বাহিরে থাকেন তাহলে আমার পরামর্শ অনুযায়ী পিতা/মাতার স্থায়ী ঠিকানা যেখানে সেখানে নিবন্ধন করা টা সব চাইতে ভাল। কারন আমার দেখা মতে কারও কারও নিবন্ধন এমন যায়গায় করা আছে যেখানে সে পুর্বে চাকুরী করত কিন্তু বর্তমানে সেখানে আর নেই মাঝে মাঝে মধ্যে দুরত্ব টা এতটাই হয় যে সেখানে যাওয়াটা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে বিধায় আপনি যদি একবার আপনার সন্তানের নিবন্ধন বাহিরে করেন তাহলে আপনাকে নিবন্ধন হারিয়ে গেলে বা কোন কিছু পরিবর্তন করতে হলে সেই কার্যালয়ে যাওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকবেনা বিধায় আপনার স্থায়ী ঠিকানা যেখানে নিবন্ধন করাটা আপনার জন্য খুব ভাল।
২য়ঃ আপনার সন্তানের জন্ম নিবন্ধন নির্ভুল ভাবে করতে চাইলে সর্ব প্রথম আপনাদের জন্ম সনদ টি অবশ্যই নির্ভুল ভাবে ডিজিটাল করতে হবে। যদি আপনার অথবা আপনার স্ত্রীর জন্ম সনদে আপনাদের নামের বানানে কোন প্রকার ভুল থাকে তাহলে সেই ভুল অটোমেটিক ভাবে আপনার সন্তানের জন্ম সনদে চলে আসবে তাই আপনার জন্ম সনদ নির্ভুল হলেই শুধুমাত্র আপনার সন্তানের টা নির্ভুল করা সম্ভব।



৩য়ঃ জন্ম নিবন্ধন এর নতুন ভাবে করার জন্য  কি কি কাগজ পত্র লাগবে?
আপনার সন্তানের বয়স যদি ০-৪৫ দিনের মধ্যে হয় তাহলে কোন প্রকার ফি ছাড়াই আপনার সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করতে পারবেন সেক্ষেত্রে যে কাগজপত্র গুলো লাগবে।
জমনি ফরম-১ যা অনলাইনে পাওয়া যায়। পুরন করে স্থানীয় কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে হবে।
আমি নিচে ফরমের লিংক দিয়ে দিব এছাড়াও অনলাইনে মেডিকেলের ছাড়পত্র / ইপিআই কার্ড/ এবং গৃহ কর পরিষদের রশিদ এর স্ক্যান কপি আপলোড ও পিতা মাতার জন্ম সনদ এর ১৭ সংখ্যার ডিজিটাল নম্বর  দিয়ে আবেদন করতে পারেন।

*    ব্যক্তির জন্মের ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিন পরে এবং জন্মের ৫ (পাঁচ) বৎসরের মধে ̈ আবেদন করিলে যথাযথভাবে  জমনি ফরম-১ পূরণকরে অনলাইনে অথবা হাতে লেখা  আবেদনপত্রে ইপিআই কর্মীর প্রত্যয়ন অথবা ইপিআই কার্ডের অনুলিপিখ অথবা  জন্মের ৫ (পাঁচ) বৎসর পর আবেদন করা হইলে বয়স প্রমাণের জন ̈ উপযুক্ত চিকিৎসক কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়ন পত্র  অথবা সরকার কর্তৃক পরিচালিত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট, এবং শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত মাধ্যমিক স্কুল  সার্টিফিকেট বা অনুরূপ , পরীক্ষার শিক্ষাগত সনদপত্র।
*  যাদের জন্ম নিবন্ধন করা আছে কিন্তু বাংলা ও ইংরেজী করা নাই তাদের জন্য কিভাবে করা যায়?
*   যাদের জন্ম তারিখ ০১-০১-২০০১ এর পরে তাদের পিতা মাতার জন্ম সনদ সংশোধন করে তারপর ছেলে ও মেয়ের টা আবেদন করতে পারবে।
*  এবং ছেলে মেয়ের নিজ নাম ও অন্যান্য তথ্য সংশোধন করার জন্য সরকার কর্তৃক পরিচালিত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট, এবং শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত মাধ্যমিক স্কুল  সার্টিফিকেট বা অনুরূপ , পরীক্ষার শিক্ষাগত সনদপত্র স্ক্যান করে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
*    যাদের জন্ম ০১-০১-২০০১ এর পুর্বে তাদের পিতা মাতার জন্ম সনদ সংশোধন করা লাগবেনা শুধু মাত্র সরকার কর্তৃক পরিচালিত জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট, এবং শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত মাধ্যমিক স্কুল  সার্টিফিকেট বা অনুরূপ , পরীক্ষার শিক্ষাগত সনদপত্র ও জাতীয় পরিচয় পত্র স্ক্যান করে অনলাইনে আপলোড করে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদন কোথায় করা যায়?
অনলাইনে আপনি নিজেই নিজের আবেদন করতে পারবেন। তবে যেহেতু একটা নিবন্ধন ৪ বার এর বেশী আবেদন করা যায়না বিধায় স্থানীয় অফিসে যোগাযোগ করে অথবা প্রফেশনাল লোক দিয়ে আবেদন করতে পারেন?
এছাড়াও জন্ম মৃত্যু নবিন্ধন বধিমিালা -২০১৮ তে বস্তিারতি ভাবে আলোচনা করা তাহলে আজ এই পর্যন্ত.... সকলরে সুস্বাস্থ্য কামনা করে শষে করছি ....


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪